Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

প্রকল্প

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সদর,দিনাজপুর-এর গুরুত্বপূর্ন প্রকল্প

 

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প

দেশের জনগণকে মানসম্মত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৯৮ সালের ১লা জুলাই থেকে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সেক্টর কমৃসূচী বা Health and Population Sector Programme (HPSP)বাস্তবায়নের কাজ নেয় ।এই কর্মসূচীর আওতায় গ্রামীন জনগণের দোরগোড়ায় একটি নিদিষ্ট কেন্দ্র থেকে অত্যাবশ্যক সেবা প্রদান কার্যক্রমের মাধ্যমে সমন্বিত স্বাস্থ্য গ্রহন পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম/ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহন করেন।সেই উদ্দেশ্যে প্রতি ৬০০০ জনগোষ্ঠির জন্য ১টি করে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে।

         গ্রামীন জনগণের চাহিদা অনুসারে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলির মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সহজলভ্যভাবে নিদিষ্ট মান ও গুনসম্পন্ন সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা প্রদান করা হয়।

            কার্যক্রমঃ সদর উপজেলায় ৩৫ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রহিয়াছে।সপ্তাহে ছয় দিন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে।

 

 

ইপিআই প্রকল্প

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্ব্য সেবায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী(ইপিআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ,উল্লেখ্যযোগ্য এবং সময়োপযোগী সংযোজন। এর আগে গুটি বসন্ত নির্মূল অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সফলভাবে গুটি বসন্ত নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে।

          ইপিআই একটি বিশ্বব্যাপী কর্মসূচী যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমানে ৮টি সংক্রামক রোগ থেকে শিশুদের অকালমৃত্যু ও পংগুত্ব রোধ করা।  ৮টি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ হচ্ছে-শিশুদের যক্ষা,ধনুষ্টংকার,হাম,ডিপথেরিয়া,পোলিও,হুপিং কাশি,নিউমোনিয়া,এবং হেপাটাইটিস-বি।

           সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী শুরু করার আগে বাংলাদেশে প্রতি বছর আড়াই লাখ শিশু উল্লেখিত রোগে মারা যেত।

           ১৯৭৯ সালের ৭ই এপ্রিল বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ইপিআই প্রকল্প এর কার্যক্রম শুরু হয়।কিন্ত প্রকৃতপক্ষে টিকাদান কর্মসূচীকে জনগনের দোড়গোড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং সফল বাস্তবায়নের জন্য ইপিআই কেৌশল ও কর্মসূচীর কাঠামো তৈরী করা হয় ১৯৮৫ সালে।এরপর ১৯৮৫-৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালের মধ্যে এক বছরের নীচে সকল শিশুদের এবং সন্তান ধারনের সক্ষম (১৫-৪৯)সকল মহিলাদের টিটি টিকা প্রদান,বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের রোগ আক্রমন বা মায়েদের প্রসবকালীন মৃত্যূর হার কমানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা হিসাবে ইপিআই কর্মসূচীকে সারাদেশব্যাপী সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন।

     কার্যক্রমঃ সদর উপজেলায় ২৪০টি নিয়মিত ইপিআই অস্থায়ী টিকাদান এবং অতিরিক্ত ১০টি  টিকাদান কেন্দ্রে (প্রতিটি ওয়ার্ডে ৮টি সাব ব্লকে)শিশু ও মহিলাদের টিকাদান সেশন পরিচালনা করা হয়। তাহা ছাড়াও জাতীয় কর্মসূচীতে এ সকল টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের টিকা প্রদান করা হয়। 

 

 

 

ফাইলেরিয়াসিস প্রকল্প

ফাইলেরিয়াসিস বাংলাদেশের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা।এই রোগে সাধারণতঃ দরিদ্র লোক আক্রান্ত হয় এবং সময়মত চিকিৎসার অভাবে বিকলাংগতা হতে পারে।অথচ এ রোগ নির্মুল করা অতন্ত সহজ।মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বর্তমানে অত্যন্ত কম খরচে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সহজ পদ্ধতিতে বৎসরে একবার করে পরপর ৫ বৎসর ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এ রোগ নির্মুল করা সম্ভব।

       ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অ্যাসেম্বলী ১৯৯৭ সালে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ২০২০ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব থেকে ফাইলেরিয়াসিস নির্মুল করতে হবে। এরই আলোকে বাংলাদেশ সরকার এ রোগ নির্মুলের জন্য একটি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।এই নির্মুল কমৃসূচীর আওতায় প্রথম বৎসর(২০০১)সালে পঞ্চগড় জেলায় গণ ঔষধ সেবন করানো হয়।পর্যায়ক্রমে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোট ২০টি জেলাকে গণ ঔষধ সেবনের আওতায় আনা হয়।এ ছাড়াও ফাইরেরিয়াসিস আক্রান্ত রোগীদেরকে‌‌‍‍ মরবিডিটি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আওতায় হাইড্রোসিল অপারেশন,ব্যায়াম,আক্রান্ত অংগের চিকিৎসা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষণ ও মরবিডিটি কন্ট্রোল কিটবক্স প্রদান করা হয়।

          কার্যক্রমঃ সদর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে জাপান জাইকার সহযোগিতায় এ কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।

 

কালাজ্বর প্রকল্প

বাংলাদেশে বিভিন্ন বাহক বাহিত রোগের মধ্যে কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া ফাইলেরিয়া,ডেংগু প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তন্মধ্যে কালাজ্বর নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত কালাজ্বর নির্মুল কর্মসূচীর সমন্বিত বাহক ব্যবস্থাপনা একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

          বাংলাদেশে কালাজ্বর নির্মুল কর্মসূচী ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এই নির্মুল কর্মসূচী প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমতঃ দ্রুত রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা এবং দ্বিতীয়তঃ এই রোগের বাহক বেলে মাছির সংখ্যা কমিয়ে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যার ফলে রোগ সংক্রমন হবে না।বর্তমানে কালাজ্বর এর বাহক নিয়ন্ত্রণে শুধু মাত্র স্বাস্থ্য বিভাগের প্রচেষ্টা শতভাগ সফলতা আনবে।এমন কি ব্যক্তি বিশেষের সহযোগিতারও প্রয়োজন রয়েছে।

          কার্যক্রমঃ সদর উপজেলায় কালাজ্বরের সরকারীভাবে ঔষধ ছিটানোসহ রোগী সনাক্ত এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
 

 

যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প

যক্ষা-বাংলাদেশ চিকিৎসা সাফল্যের হার সন্তোষজনক হলেও রোগ নির্ণয়ের হার আশাব্যাঞ্জক নয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লক্ষ্য লোক যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ৬৫/৭০ হাজার লোক এ রোগে মারা যায়।প্রতি ২ মিনিটে একজন রোগী নতুনভাবে আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ১০ মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়।

     কার্যক্রমঃ জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় যক্ষা রোগীদের কফ্ পরীক্ষার জন্য কফ্ কালেকশন করা হয় এবং যক্ষা রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

       সদর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে যক্ষা রোগীদের কফ্ সংগ্রহ করা হয়,সরকারী,ব্র্যাক সুস্বাস্থ্য,ল্যাম্ব হাসপাতাল কর্তৃক যক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

কুষ্ঠ-কুষ্ঠ রোগটি অতীব প্রাচীন রোগ,সময়মত চিকিৎসার আওতায় না এলে এ রোগে বিকলাংগতা বা পংগুত্ব হওয়ার সম্ভনা বেশী।বর্তমানে বাংলাদেশের ৬২৫ টি চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূল্যে ঔষধ দেওয়া হয়।সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থাদি-যেমন কুষ্ঠ চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার সংগে একীভুতকরণ,বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থাকে কুষ্ঠ উচ্ছেদে সম্পৃক্তকরণ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা,বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্থিক সাহায্য সহযোগিতায় কুষ্ঠ উচ্ছেদ কর্মসূচী বাংলাদেশে এক প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

     কার্যক্রমঃসদর উপজেলায় সরকারী,এবং ধানজুড়ী কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় কুষ্ঠ রোগীদের বিভিন্ন কুষ্ঠ কেন্দ্রে বিনমিূল্যে চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে।